রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ‍করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চারদিন ধরে চিকিৎসা শেষে রোববার তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানান ৭৭ বছর বয়সী এ অভিনেতা।

সোমবার সকালে আবুল হায়াত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আল্লাহর রহমতে আমি এখন ভালো আছি। প্যারামিটারগুলো ডেভলপ করে গেছে, বেটার আছি। সিসিইউ থেকে কেবিনে এসেছি।”

করোনাভাইরাস শনাক্তের পর বুধবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হার্টের পূর্ব জটিলতা থাকায় ও বয়সের কারণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছিল।

এখনও তার অক্সিজেন প্রয়োজন হয়নি বলে জানান আবুল হায়াত। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার তার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার কথা রয়েছে; রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে, তিনি কবে নাগাদ হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরতে পারবেন।

আপাতত কেবিনে বই পড়ে সময় কাটছে আবুল হায়াতের; যিনি অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখির সঙ্গেও ‍যুক্ত আছেন প্রায় তিন দশক ধরে। ‘এসো নিপোবনে’, ‘অচেনা তারা’, ‘মিতুর গল্প’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে তার।

“হাতের কাছে বই রাখি। যখন ভালো লাগে না তখন বই পড়ি। এতক্ষণ জানালা দিয়ে বারিধারা লেকের ছবি তুললাম।”

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে অভিনয় থেকে নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছিলেন সময়ের ব্যস্ত এ অভিনেতা; গত এক বছরে সর্বোচ্চ তিনটি টিভি নাটক ও ‘স্ফূলিঙ্গ’ চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণে অংশ নিয়েছেন তিনি।

সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪.কম

Leave your comments