আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুড়িগ্রামের কৃষকরা।এবারের দীর্ঘ বন্যার পর ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আলু চাষ শুরু করেছেন কুড়িগ্রাম সদরের চাষিরা।হিমাগার থেকে বীজ উত্তোলন, জমি তৈরি, আগাছা পরিষ্কার,সার প্রয়োগ এবং প্রস্ততকৃত জমিতে আলু রোপণে ব্যস্ততা বেড়েছে চাষিদের।কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানি জমি থেকে নামতে দেরি হওয়ায় আলু রোপণ কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে।তবে চলতি মৌসুমে ব্যাপক প্রস্ততি দেখা যাচ্ছে চাষিদের মাঝে।এদিকে, উঁচু শ্রেণির জমিতে আগাম জাতের আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে।কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নে সুুভারকুটি (০৯ নং ওয়ার্ড) গ্রামের বাণিজ্যিক ভাবে আলু চাষি আঃ রাজ্জাক বলেন,আমার ৬৮ একর উঁচু জমিতে আলুর বীজ রোপণ করেছি।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করছি ইনশাল্লাহ।আঃ রাজ্জাক আরো বলেন,এলাকায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।তাই জমি প্রস্তত হওয়ার পরও আলু রোপণে দেরি হচ্ছে।এবার অতিরিক্ত খরচ হওয়ার আশঙ্কা করছি।তবে বাজারে দাম ও ফলন ভালো হলে খরচের টাকা পুশিয়ে নেওয়া যাবে।একই গ্রামের আরেক কৃষক মোঃ নুরুজ্জামান জানান,এবার আমার জমিতে আলু রোপণের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছি।আশা করি, আবহাওয়া ভালো থাকলে দুই-একদিনের মধ্যে জমিতে আলু রোপণ করতে পারবো।পার্শ্ববর্তী ভেরভেরী গ্রামের আরেক কৃষক হাসু মিয়া জানান, এবারে প্রতিতি রাসায়নিক সার,কীটনাশক সহ সকল কৃষি ঔষধ সংকট থাকায় মূলের চেয়ে অনেক বেশি দামে ক্রয় করায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন,সদর উপজেলার বর্তমান পর্যন্ত ৫৮০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ হয়েছে।তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এর দ্বিগুণ হবে বলে আশা করেন।তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি আলুর দাম বাড়ায় আলু চাষে কৃষকেরা উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বেশি।সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বরে আলু চাষ শুরু হলেও অক্টোবরের শুরুতে গ্যানেলা জাতের আলুর লাগিয়েছেন।কয়েক দিনের মধ্যে ব্যাপক বাজারে নতুন আলু উঠবে।তখন আলুর দামও কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

Leave your comments