কুড়িগ্রামের উলিপুরের ধামশ্রেনী ইউনিয়নের বাগচির খামার(ভাষাপাড়া) গ্রামের জেলানীর পুত্র মোঃ জাহেদুল ইসলাম(৩৫)কে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি দিয়ে গলাকাটা মামলার প্রধান আসামী মোঃ কবিদুল ইসলাম আটক হওয়ার পর ১০দিনেই জামিন পাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।জামিনের পর বাদী পক্ষের লোকজনকে হুমকি দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে বৃহস্পতিবার(২৮ মে) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মেডিক্যালে ভর্তি রেজিষ্টারের কাগজ আদালতে প্রেরণ করার পরেও এইরকম আসামির যে জামিন হয়েছে তা তিনি জানেন না।
উল্লেখ্য,গত ২মে শনিবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই ইউনিয়নের বাগচির খামার থেকে পালপাড়া গামী কাচা রাস্তার পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতের একটি স্যালো ঘরের কাছে জাহেদুলকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত কবিদুল। এসময় কবিদুল ও তার সংগীয়রা জাহেদুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে গলাসহ শরীরে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।আহতের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে অভিযুক্ত কবিদুল পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত অবস্থায় জাহেদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুরে হাসপাতালে রেফার্ড করেন।এঘটনায় গত ৪মে আহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কবিদুল সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলার পর গত ৮ মে দুপুরে উপজেলার দূর্গাপুর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এএসআই বকুল খান অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী কবিদুলকে গ্রেফতার করে,শনিবার ৯ মে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।জেল হাজতে থাকা প্রধান আসামী কবিদুল গত ১৯মে জামিনে বের হয়।
Leave your comments