ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়ায় কবর খুড়তে বাধা দেওয়ায় ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করায় জানাজা শেষে লাশ
দাফন কার্য সম্পন করার পরে মুসল্লিরা এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অংশ নেয়।

জানা গেছে, ৫ জুলাই সকালে রুহিয়া কশালকাঁও গ্রামের আবুল হোসেন (ভোটা) এর স্ত্রী শহিদা খাতুন মৃত্যু বরণ করেন।
পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের পারিবারিক গোরস্থান রুহিয়া পুকুরে বাদ আসর মরহুমের জানাজা শেষে দাফন কার্য সম্পন্ন হবে।

এ মোতাবেক কাশি মিয়া মরহুমের কবর খুড়ার কাজ প্রায় শেষ করেন। এমতাবস্থায় রুহিয়া ঘনিবিষ্ণুপুর গ্রামের মইনুল হকের পুত্র
বিশিষ্ট টিন ব্যবসায়ী সাহিরুল তার স্ত্রী এবং তার ভাই আলমকে সাথে নিয়ে উক্ত কবরটি ভেঙ্গে দেয়।

বিক্ষোভ মিছিল

 

এলাকা বাসী খবর পেয়ে গোড়স্থান এলাকায় গিয়ে সাহিরুল ও তার সঙ্গীয় লোকজনকে বাধা দিলে এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
অবস্থা বেগতিক বুঝে সাহিরুল তার লোকজন সহ সেখান থেকে ফিরে আসে।

পরবর্তীতে কবরটি পুনরায় মেরামত করে জানাজা শেষে ঐ কবরেই মরহুমের লাশটি দাফন করা হয়। লাশ দাফন শেষে জানাজায়
অংশগ্রহণকারী সকল মুসল্লি সমবেত হয়ে রুহিয়া পুকুর গোড়স্থান হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে রুহিয়ার প্রধান প্রধান সড়ক
প্রদক্ষিণ শেষে রুহিয়া চৌরাস্তায় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে পূর্বে যায়গায় গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিপ্লব ইসলাম রঞ্জু ও মাওলানা তৈয়ব আলী। এসময় বক্তারা অভিযোগ করেন, সাহিরুল তার দলবল সহ
শুধু কবরটিই ভাঙ্গেনি বরং লাশটি বাবুয়াখাল নামক শ্মশান ঘাটে পুড়ে ফেলতে বলে। আমরা অনতিবিলম্বে প্রশাসনের নিকট সাহিরুলের
উপযুক্ত বিচার দাবী করছি। এ ব্যাপারে সাহিরুল বলেন, আমার ক্রয় কৃত জমিতে আমি কবর খুড়তে বাধা দিয়েছি।

বিক্ষোভ মিছিল

 

রুহিয়া থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় মোবাইলে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে তবে কোন অভিযোগ পাইনি।
অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

আরো পড়ুনঃ অনারের মূল্য ছাড়ে রাজধানীর বসুন্ধরায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

Leave your comments