ফিরোজ কবির কাজলঃ

সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রাম কারাগারও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এরমধ্যে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতার ৪ গুণের বেশি হাজতি এবং  কয়েদি রয়েছে।বাধ্য হয়ে তাদের গাদাগাদি করে রাখতে হচ্ছে। স্থান সংকট থাকায় বারান্দায় গ্রিল লাগিয়ে অনেককে রাখা হচ্ছে। ফলে বন্দিদের ঘুমানো ও গোসল করাসহ প্রতিদিন নানা সমস্যায় হিমশিম খাচ্ছেন কারা কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারাগার কর্তৃপক্ষ।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারে বন্দিদের রাখার জন্য ৪টি পুরুষ ও ২টি নারী ওয়ার্ড রয়েছে। ধারণক্ষমতা ১৬৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ বন্দি ধারণক্ষমতা ১৪৫ জন। আর নারী বন্দি ধারণক্ষমতা ১৮ জন। অথচ ২০ মার্চ পর্যন্ত বন্দি ছিল প্রায় ৭০৪ জন।
কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার মো. লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সচতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা ও মনিটরিংয়ের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন বন্দিদের কারাগারের ভিতরে ঢোকানোর আগে প্রধান গেটে সাবান ও হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত মুখ ধোয়ানো হচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এভাবে প্রাথমিকভাবে তার সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ভিতরে ঢোকানো হচ্ছে। এছাড়া কারাগারের রান্নাঘর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি খাবারসমূহ ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়ার পর পরিবেশন করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আনুপাতিক-হারে হাজতিদের সাথে ১৫ দিন এবং দ-প্রাপ্ত কয়েদির সাথে ৩০ দিন অন্তর সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইসাথে সাক্ষাৎ প্রার্থীদের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
Leave your comments