কুড়িগ্রাম উলিপুরের কৃষ্ণমঙ্গল গ্রামের আলোচিত অপহরন ও ধর্ষন মামলার আসামী সোহেল রানা আদালতে হাজির হলে বিচারক জামিন না মন্জুর করে হাজতে নেয়ার আদেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গল এলাকার নুর আলমের পুত্র কলেজ পরুয়া সোহেল রানা(২৩) প্রতিবেশী অটো চালকের ১৩ বছর বয়সের মেয়েকে ২০২০ইং সালের জানুয়ারী মাসে জোড় পুর্বক ধর্ষন করে। মেয়ের বাবা ধর্ষনের অভিযোগ এনে গত ১২ ই জানুয়ারী ২০২০ইং উলিপুর থানায় সোহেল রানার নামে অভিযোগ এনে এজাহার করেন। যার মামলা নং ২২। আসামী ঘটনার পর হতে পলাতক ছিলো বলে জানা যায়। মেয়ের বাবার অভিযোগ সোহেল রানার পরিবার মামলা তুলে নেয়ার জন্য মেয়েসহ তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে চাপ ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
ঐ ঘটনার ৮ মাস পর আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
মামলার এজাহার বা বাদীর অভিযোগ মূলে জানা যায়, ঘটনার জের ধরে গত ২০ আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী সোহেল রানা দলবল নিয়ে এসে ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে পিতা ও দাদিকে মারধর করেন। এরপর ওই ছাত্রীকে প্রকাশ্যে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করতে না পেরে শনিবার (২২ আগষ্ট) সোহেল রানাসহ নামীয় আট ও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় অপহরনের মামলা দায়ের করেন। এর একদিন পর ২৩ আগষ্ট গুনাইগাছ ইউপি চেয়ারম্যান ও উলিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এর মধ্যস্থতায় সোহেল রানার পরিবার মেয়েকে উপজেলা পরিষদে রেখে যান। ওখান থেকে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে মেডিকেল ও ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করে মেয়েকে তার বাবার হাতে তুলে দেন ।
ছাত্রীর পিতা অভিযোগ করে বলেন, ধর্ষন মামলার আসামী সোহেল রানার পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর থেকে তারা মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা ভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। মামলা তুলে না নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২০ আগষ্ট সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজনকে মারধর করে আমার শিশু কন্যাকে অপহরন করে নিয়ে যায়। মেয়েকে উদ্ধার ও ন্যায় বিচারের আশায় পুনরায় উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছি।
প্রধান আসামী সোহেল রানা সোমবার ( ৩১ শে আগষ্ট) কোর্টে হাজির হলে বিচারক জামিন না মন্জুর করে আসামী কে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
Leave your comments