সারা দেশের মতোই শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন  উলিপুরের কৃষকরা। চাষাবাদের
আধুনিক পদ্ধতিতে চারা রক্ষার কৌশল থাকলেও অনুসরণ করছেন না বেশিরভাগ কৃষক। এমন প্রতিকূল আবহাওয়া চলমান
থাকলে বোরো ধানের বীজতলার বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বোরো মৌসুমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে ধান চাষ হয়। তবে বোরো মৌসুমের বীজতলা
তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণে কৃষকদের মাঝে সেই পুরনো পদ্ধতি দেখা যায়। শীতের শুরুতেই শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় অনেক
বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে দেরিতে ধান বীজ ছিটানো বীজতলাগুলো।

কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে নিরাপদ ধানের চারা তৈরি সম্ভব। তাই আধুনিক চাষ পদ্ধতির বার্তা নিয়ে মাঠে মাঠে ঘুরছেন
কৃষি কর্মকর্তারা। বিশেষ করে কুয়াশাঘন দিনে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা ও পর্যাপ্ত পানি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন
তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৩১১ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর জন্য ১হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে  বীজতলা ২শ হেক্টর।

গত এক সপ্তাহ ধরে উলিপুরের ওপর দিয়ে মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। কয়েকদিন ধরে সুর্যের আলো দেখা মেলেনি। এতে বোরো ধানের বীজতলায় হলদে রং ধারণ করছে বিভিন্ন এলাকায়। তবে এই সমস্যার সমাধানে বেশিরভাগ কৃষক কৃষি বিভাগের আধুনিক চাষাবাদ কৌশল অনুসরণ করছেন না বলে জানা গেছে।

উলিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, দিনের বেলা কুয়াশা ও প্রচ- ঠান্ডা থাকলে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়ে সন্ধ্যার আগে খুলে দিতে হবে। নলকূপ থেকে গরম পানি দিতে হবে এবং ঠান্ডা হলেই তা বের করে দিতে হবে। চলমান বৈরি আবহাওয়া কেটে গেলে বীজতলায় ইউরিয়া ও সালফার সার প্রয়োগ করলে চারা দ্রুত বেড়ে উঠবে। এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে বীজতলা ভালো থাকবে। চাষিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

 

ফিরোজ কবির কাজল

 

আরো পড়ুনঃ জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে রংপুরে গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ কাজ

Leave your comments