কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় আপন চাচা কর্তৃক ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে বাঞ্চারচর ব্র্যাক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাতিজিকে বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে চাচা সফিয়াল হক (৩৫)। পরে মেয়ের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করলেও ধর্ষক চাচা সফিয়াল এসময় পালিয়ে যায়।
বিষয়টি স্থানীয় মাতব্বরগণ আপোষ – মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বৃহস্পতিবার, (১০ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ধর্ষিতা ওই ছাত্রীর মা অভিযোগ করে বলেন, এক মাস আগে সফিয়াল আমার মেয়েকে তার চাচির কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে বাড়ির গেট বন্ধ করে দিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে।
এবং এ কথা প্রকাশ না করার জন্য মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পাশাপাশি মোবাইলে ধারনকৃত ধর্ষণের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় সফিয়াল। এ সুযোগে আমার মেয়েকে গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে বাড়িতে একা পেয়ে ভয়ভীতি ও লোভলালসা দেখিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে চাচা সফিয়াল। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি ও আমার ছেলে বাড়িতে এসে হাতেনাতে ধরার চেষ্টা করলে সফিয়াল পালিয়ে যায়।
ধর্ষিতার বাবা বলেন, আমরা গরীব মানুষ ধর্ষণের বিষয়টি থানায় মামলা করতে চাইলে ধর্ষণকারী ও গ্রামের মাতব্বরগণ মামলা না করার হুমকি-ধামকি দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং মামলা দায়ের করতে নিষেধ করেন। গ্রামে কোন বিচার না পেয়ে ব্র্যাকের সহযোগিতায় মেয়েকে সাথে নিয়ে রৌমারী থানায় অভিযোগ করেছি।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মোহাম্মদ দিলওয়ায় হাসান ইনাম বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave your comments