ফিরোজ কবির কাজলঃ
কারা অভ্যন্তরে বন্দিদের রাখার ওয়ার্ডগুলোতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় লোহার গ্রিল লাগিয়ে সেখানে অনেককে রাখা হয়েছে। ফলে বিপুল সংখ্যক বন্দি নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে। তাদের ঘুমানো, গোসল করাসহ প্রতিদিন নানা কাজে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বন্দিদের রাখার জন্য ৪টি পুরুষ ও ২টি নারী ওয়ার্ড রয়েছে। ধারণক্ষমতা ১৬৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ বন্দি ধারণক্ষমতা ১৪৫ জন। আর নারী বন্দির ধারণক্ষমতা ১৮ জন। এ অবস্থায় পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন অপরাধের আসামিদের গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কারাগারে বন্দি সংখ্যা ধারণ ক্ষমতার ৪ গুণ অতিক্রম করেছে।
সূত্র আরও জানায়, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত জেলা কারাগারে কয়েদি ও হাজতি বন্দি ছিল ৭১৯ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬৯০ জন এবং নারী ২৯ জন। এই বন্দিদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি পুরুষ ১১৯ জন ও নারী ৫ জন মোট ১২৪ জন। আর হাজতি রয়েছেন পুরুষ ৫৭১ জন আর নারী ২৪ জন।
কুড়িগ্রামে উপ-কারাগারটি ১৯৬৮ সালের দিকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এরপর ১৯৮৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জেলা কারাগারে উন্নিত করা হয়। জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ অফিসের পাশে পৌণে ৭ একর জায়গায় স্থাপিত কারগারটির প্রাচীর ঘেরা মূল কারাগারের আয়তন ৩ দশমিক ৮৬ একর।
এ প্রসঙ্গে জেলা কারাগারের জেলার মো. লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, এই কারাগারে অধিকাংশ সময় ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি থাকেন। এজন্য ধারণক্ষমতা বাড়াতে অবকাঠামো নির্মাণসহ আধুনিকায়নের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
Leave your comments