কুড়িগ্রামের উলিপুরে জেএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেয়ার কথা বলে নিয়ম বর্হিভূতভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ধারাবাহিক মূল্যায়নে পরীক্ষা নেয়া বা পাশ করিয়ে দেয়ার কোন বিষয় না থাকলেও প্রতারনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী অভিভাবকগণ প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার ৬০টি বিদ্যালয়ের ৪ হাজার ৬শ ৯৩ জন পরীক্ষার্থী ৫টি কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন
করেছেন। কেন্দ্র গুলো হচ্ছে উলিপুর এমএস স্কুল এন্ড কলেজ, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়,
মন্ডলেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও বজরা এল কে আমিন উচ্চ বিদ্যালয়।

অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের বিষয় শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, চারু ও
কারুকলা, কৃষি শিক্ষা বা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষায় পাশ করে দেয়ার কথা বলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ
থেকে ১শ থেকে ৩শ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। একই অভিযোগ রয়েছে উপজেলার প্রায় সকল বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।

জনপ্রতি ৩শ টাকা

এরমধ্যে দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৩শ টাকা আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিভাবকগণ
ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন।

উপজেলার দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক সফিকুল ইসলাম লাল, মন্তাজ আলী, সানোয়ার হোসেন, হায়দার
আলী ও হারুন মিয়াসহ কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, কেন্দ্র ও অন্যান্য খরচ বাবদ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক
হাবিবুর রহমান প্রতিষ্ঠানের ২শ ৭জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে উপরোক্ত বিষয়ে পাশ করিয়ে দেয়ার কথা বলে সকল
শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩শ টাকা করে আদায় করেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক হাবিবুর রহমান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩শ করে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, কিছু শিক্ষার্থীর
কাছ থেকে ৫০-৬০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। জানা যায়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর নির্দেশনা
মোতাবেক ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবেন।
যা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র পরীক্ষা চলাকালীন বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনের মাধ্যমে এন্ট্রি করে প্রেরণ করবেন। কিন্তু ধারাবাহিক
মূল্যায়ন না করে পরীক্ষা নেয়া ও পাশ করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা
আদায় করা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব

দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব উৎপল কান্তি সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার
বিষয়টি ভিত্তিহীন। কেউ যদি কোন ধরনের টাকা নিয়ে থাকে বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রব জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি
অফিসিয়ালি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

 

ফিরোজ কবির কাজল

কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা

Leave your comments