রংপুর খাদ্য বিভাগের সুচী (প্রোগ্রাম) অনুযায়ী প জেলার ফকিরগঞ্জ খাদ্য গুদাম থেকে কুড়িগ্রাম সদর খাদ্যগুদামে প্রেরিত ১২০ মেঃ টন পোকাক্রান্ত, ডাস্ট ও ভাঙ্গাচুড়া বিবর্ণ আমন চাল খাবার অযোগ্য হওয়ায় তা ফেরত পাঠিয়েছে জেলা খাদ্যবিভাগ । এই ১২০ মেঃ টন খাওয়ার অযোগ্য চাল নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলাসহ রংপুর খাদ্যবিভাগে চলছে তোলপাড়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর খাদ্য বিভাগের ১০ সেপ্টম্বরের ১৯৩৬(১৩) নং স্মারকের ২২ নং প্রোগ্রাম অনুযায়ী পঞ্চগড় জেলার ফকিরগন্জ খাদ্যগুদাম থেকে ১৫০ মেঃ টন আমন চাল কুড়িগ্রাম সদর খাদ্যগুদামে প্রেরণের সরকারী নির্দেশনা জারী হয়। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ১৫ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম খাদ্যগুদামে আসে ১২০ মেঃটন চালের ৪টি ট্রাক।কুড়িগ্রাম সদর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ওই ৪ ট্রাক চাল গুদামজাত করার সময় পরীক্ষা নিরিক্ষা করে চালগুলি খাবার অযোগ্য মনে করে গুদামজাত বন্ধ রেখে খাদ্য বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করেন।খাবার অযোগ্য ভাঙ্গাচোরা বিবর্ণ এ চাল সরেজমিনে তদন্ত করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য বিভাগের উচ্চ পযার্য়ের তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় খাবার অযোগ্য ১২০ মেঃ টন চাল ফেরত পাঠানো হয় ফকিরগন্জ এর প্রেরিত ওই খাদ্যগুদামে।।খাবার অযোগ্য, পোকা যুক্ত,ভাংগাচোরা আমন চালের এই খবরে কুড়িগ্রাম সহ গোটা রংপুর অঞ্চলের খাদ্য বিভাগে তোলপাড় চলছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর খাদ্য কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, সরকারি নিয়মে আঞ্চলিক ভাবে চাল এক গুদাম থেকে অন্য গুদামে দেয়া হয়। কিন্তু ফকিরগঞ্জের গুদাম থেকে প্রেরিত চাউল একেবারেই খাবার অযোগ্য।গুদামজাত করার সময় তিনি দেখতে পান পচা,ভাংগাচোরা, চাউল প্রতিটি বসতায়। খাবার অযোগ্য এই চাল কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদামে না ঢুকিয়ে এসব চাল পরিদর্শনের জন্য জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করলে, খাদ্য বিভাগের একটি উচ্চ পযার্য়ের তদন্তে বাস্তবতার প্রমাণ মেলে। তদন্ত কমিটি খাবার এই অযোগ্য চাল ফেরত পাঠিয়ে সঠিক তদন্তের আলোকে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। খাবার অযোগ্য পোকাযুক্ত চালের ব্যাপারে জানাজানি হলে টনক নড়ে কুড়িগ্রামসহ গোটা রংপুর অঞ্চলের খাদ্য বিভাগের।এব্যাপারে ফকির গঞ্জ খাদ্য গুদামের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা জেসমিন আকতার জানান, চাউলের ব্যাপারে জেনেছি, ফেরত আসার পর টেকনিক্যাল তদন্তের আলোকে বাস্তবতা জেনে সঠিক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দোষী যেই হোক তদন্তের মাধ্যমে তার বিচার হবেই।

Leave your comments