ফিরোজ কবির কাজলঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে ধর্ষক। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই ছাত্রীর খালার বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার প্রভাবশালী মহল ৪৮ ঘন্টা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেও  শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। পরে ঘটনা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর অনন্তপুর মোল্লাটারী গ্রামের খবিজলের ছেলে নাজমুল ইসলাম প্রায় ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীর পরিবার একাধিকবার নাজমুল ইসলামের পরিবারের কাছে অভিযোগ দিলেও কোন কাজ হয়নি। উল্টো শিক্ষার্থীর পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে নাজমুল ইসলামসহ তার পরিবার। বৃহস্পতিবার বাড়িতে খালা না থাকার সুযোগে উত্যক্তকারী নাজমুল শিক্ষার্থীর খালার বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় একাই ওই শিক্ষার্থী ঘরে টিভিতে সিরিয়াল দেখছিল। পরে ওই শিক্ষার্থীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে।
এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান হারালে নাজমুল ইসলাম পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা চালানোর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করলেও ধর্ষক নাজমুল, তার বাবা খবিজল মিয়া, চাচা সাইফুল ইসলাম, জাহিদুল ও শহিদুল। এমন কি তার চিকিৎসা ও থানায় যাতে মামলা করতে না পারে সেজন্য প্রাণনাশে হুমকি প্রদান করেন।  এদিকে রাতভর নির্যাতন শিকার সহ্য করে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে ধর্ষককের পরিবার।
শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে ৪৮ ঘন্টা পর স্থানীয় একটি বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়।  পরে ফুলবাড়ী হাসপাতালে শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গভীর রাতে তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বোন জানান, এটি একটি পৈচাশিক ঘটনা। আমরা এঘটনায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় বলেন, শনিবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীর খালা ফুলবাড়ী থানায় বাদী হয়ে ধর্ষক নাজমুলসহ আর এক জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে। আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। যেহেতু ভিকটিম উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানে ভিকটিমের মেডিকেল চেকআপ করানো হবে।
Leave your comments