আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে নিরবিচ্ছিন্নভাবে তেল সরবরাহ নিশ্চিত করণের লক্ষে চিলমারী ভাসমান তেল ডিপোটি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পুটিমারী এলাকায় স্থানান্তরিত হওয়ায় তেল ব্যবসায়ী ও কৃষকদের মাঝে তেল সংগ্রহ করা সহজ হয়েছে। উক্ত স্থানে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ও নদীর নাব্যতা সঠিক থাকায় পুটিমারী ঘাট হতে বিভিন্ন এলাকায় তেল সরবরাহ করন সহজ হয়েছে।
সরেজমিনে, বুধবার উক্ত এলাকায় গিয়ে দেখা যায় যমুনা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেড তাদের বার্জ থেকে তেল সরবরাহ
নিশ্চিত করেছে। গুটি কয়েক তেল ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ডিপো স্থানান্তর এর কাজে অহেতুক বাঁধা
প্রদান করে আসছে। যমুনা ওয়েল কোম্পানীটি তেল সরবরাহের জন্য সুবিধাজনক এবং নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত হলেও
মেঘনা ওয়েল কোম্পানীটি ব্রহ্মপুত্র নদের দ্বিপচর কড়াইবরিশালের মতো বিচ্ছিন্ন এলাকায় এখনও অবস্থান করছে। সাগর
ফিলিং ষ্টেশনের স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব মাহফুজার রহমান (মঞ্জু) জানান যে, রাস্তা মেরামত ও প্রেট্রোল, অকটেন উক্ত ডিপো
থেকে পাওয়া গেলে ব্যবসায়ীদের জন্য বেশি সুবিধা হবে।

তদন্ত প্রতিবেদন

ডিপোটি স্থায়ীকরনের ব্যাপারে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করা
হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। যেহেতু চিলমারী নৌ-বন্দরের কাজ চলমান রয়েছে, সেকারণে নদীর নাব্যতা অনুযায়ী
স্থায়ী সোরডিপো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ট্যাংলড়ির জন্য স্থায়ী টার্মিনাল নির্মাণ ও তেল সরবরাহ পয়েন্ট স্থাপনের জন্য দীর্ঘ দিন
থেকে দাবি জানিয়ে আসছিল। উক্ত ডিপো থেকে যমুনা ওয়েল কোম্পানীতে ১৭ জন ডিলার ও মেঘনা ওয়েল কোম্পানীতে ৭
জন ডিলার তেল সরবরাহ করে আসছে। এছাড়াও উলিপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রৌমারী, রাজিবপুর, সরিষাবাড়ী,
জামালপুর, ও গাইবান্ধা এলাকার এজেন্টের মাধ্যমে জ্বালানী তেল সরবরাহ করে আসছে ১৯৮৯ সাল থেকে। বৃহত্তর রংপুর
অঞ্চলে এক মাত্র এই ডিপোটি ব্রহ্মপুত্র নদে অবস্থীত হওয়ায় এই অঞ্চল থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে তেল সরবরাহ করা অধিকত
সহজ। ফলে উক্ত এলাকা গুলোর কৃষকেরা ইরিগেশন মৌসুমে স্বাচ্ছন্দে তাদের ইরিবোরো চাষ করতে পারে। আসন্ন মৌসুমে
নিরবিচ্ছন্ন তেল সরবরাহের জন্য কৃষক সহ তেল ব্যবসায়ীগণ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে।

এব্যাপারে যমুনা ওয়েল কোম্পানীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তাফাজ্জল হক এ প্রতিনিধিকে জানান, প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগীতায় পুটিমারী এলাকায় তেল ডিপোটি স্থানান্তরিত হওয়ায় ব্যবসায়ী ও কৃষকদের কাছে তেল সরবরাহ সহজতর হবে। অপর দিকে তেল কোম্পানী মেঘনা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেড এর ইনর্চাজ মোঃ আবু সাঈদ জানান, বার্জটির তেল শেষ হওয়া মাত্রই তারাও সুবাধাজনক এলাকায় তাদের বার্জটি স্থানান্তরিত করবেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জ্বালানী তেল মনিটরিং কমিটির সভাপতি এ,ডব্লিউ,এম রায়হান শাহ্- এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, কয়েকটি স্পট ঘুরে পুটিমারী নামক স্থানটি সুবিধাজনক ও নিরাপদ হওয়ায় ডিপোটি সেখানে স্থানান্তরীত করা হয়েছে। ভাসমান তেল ডিপোটি স্থায়ী করণের বিষয়ে আগামী দুই এক দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হবে মর্মে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
ফিরোজ কবির কাজলঃ

Leave your comments