বায়ু দূষণ

উন্নয়নের চাপে পথের দু’ধার থেকে উধাও হচ্ছে সবুজ। বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বায়ু দূষণ।  এই আবহে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু-কিশোরের সংখ্যা বৃদ্ধিও উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে বলে মত শিশুরোগ চিকিৎসকদের।

শহরের ফুসফুস রক্ষায় এখনই দ্রুত পদক্ষেপ করা না হলে শহুরে শৈশব বিপন্ন হবে! এমনই অশনি সঙ্কেত দিল
শিশুরোগ চিকিৎসকদের সংগঠন।

এখন অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ শিশু শ্বাসকষ্টে ভুগছে। ভিটামিড ডি-র অভাব, এমনকি অ্যালার্জিতেও ভুগছে
ছোটরা। এর বড় কারণ বাতাসের দূষণ।জিনগত কারণে শিশুরা হাঁপানি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগের শিকার হলে সে
ক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না। কিন্তু পরিবেশের কারণে শ্বাসকষ্ট হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে!’’ সেই পথ
খুঁজতে হবে।

সচেতনতার চার ধাপ

• শিশুদের ধুলো থেকে দূরে রাখুন
• দূষণ বেশি এমন এলাকায় বিশেষ মুখোশ পরান
• কোন খাবারে সন্তানের এলার্জি, খেয়াল করুন
• স্যাঁতসেঁতে জায়গা এড়িয়ে চলুন

চিকিৎসকদের মতে, সেপ্টেম্বর-নভেম্বরে শহরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। শুধু কী তাই! শহরে এখন অনেক স্কুলই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। শিশুরোগ চিকিৎসকদের দাবি, শীতাতপ যন্ত্রের ফিল্টার ঠিক মতো পরিষ্কার না হলে পড়ুয়াদের শ্বাসকষ্টের বড় কারণ হতে পারে সেটি। সবাই সচেতন না হলে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা মনে করেন অভিভাবকদের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। বিভিন্ন স্কুলেও সচেতনতা মূলক প্রচার চালাতে হবে।

আরো পড়ুনঃ জনপ্রিয় বিজনেস র্স্টাটআপ প্রতিযোগীতা “গেট ইন দ্যা রিং-ঢাকা” এখন রাজশাহীতে

Leave your comments