ফিরোজ কবির কাজলঃ
দরিদ্রতার দিক দিয়ে দেশের শীর্ষ অবস্থান করছে কুড়িগ্রাম জেলা।সরকারের সর্বশেষ তথ্য মতে, দারিদ্র্যের হার ৭০ দশমিক ৮ ভাগ।এর অন্যতম কারণ হচ্ছে নদী ভাঙন। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও জিঞ্জিরাম-এই পাঁচ আন্তঃনদ-নদীসহ মোট ১৬ নদ-নদীর প্রতিটিই কমবেশি ভাঙন প্রবণ। শুধু বর্ষায় নয়, শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙন দেখা দেয় এইসব নদ নদীতে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এই শুষ্ক মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের কবলে পড়েছে রাজিবপুর উপজেলার হাজীপাড়া, ফকিরপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, মুন্সীপাড়া, গোয়ালপাড়া ও দিয়ারা চর নেওয়াজী গ্রামসহ নয়ারচর বাজার।
এসব গ্রামে সম্প্রতি ২৫০টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। পরিবারগুলো সড়ক, বাঁধ ও নতুন জেগে ওঠা চরে কোনোরকমে মাথা গুঁজে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
নদী ভাঙনের শিকার হওয়া পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে কার্যক্রম খুবই সীমিত। ফলে এখানকার মানুষ ক্রমশ নিঃস্ব হচ্ছে বলে জানান কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো।
নদী ভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা আর নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না এমনটাই মনে করেন নদী নিয়ে কাজ করা কুড়িগ্রাম রিভারাইন পিপলের সিনেটর এসএম আব্রাহাম লিংকন।
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নদী ভাঙনে নিঃস্ব পরিবারগুলোকে স্থায়ী পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে বলে জানান কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের কর্মকর্তা  দিলীপ কুমার সাহা।
গত ৬ মাসে জেলার ৯ উপজেলায় নদী ভাঙনে ৬ হাজার ৩শ ৯৫টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
Leave your comments