ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানার আখানগর ইউনিয়নের ভেলারহাট গুচ্ছগ্রাম এলাকায় আলতার রঙ শুকাতে না শুকাতেই বিথি রানী শর্মা (১৮) নামে এক নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে ২ জুলাই মঙ্গলবার সকালে ।

জানা যায়, ৬ মাস পূর্বে রুহিয়া থানার আখানগর ইউনিয়নের কালিবাড়ী মহেশপুর গ্রামের বিজয় কুমার শর্মার মেয়ে বিথি রানী শর্মার বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের ভেলারহাট গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা জোতিষ বর্মনের সঙ্গে।

বিয়ের পর হতেই যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নিযার্তন করে আসত স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

এরই জেরে ঘটনার দিন সকালে জোতিষ বর্মন তার স্ত্রী বিথি রানীকে বাপের বাড়ি হতে ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ দেয়।

সে যেতে রাজি না হলে জোতিষ তাকে মারধর করে। এক পযার্য়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে স্বামী জোতিষ।

পরে অবস্থা বেগতিক দেখে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় পাষন্ড স্বামী।

এমতাবস্থায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলছেন বিথি আত্বহত্যা করেছে।

আর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।

খবর পেয়ে রুহিয়া থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে।

এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। নিহত নববধূ বিথির মা জানকি রানী জানান, বিয়ের পর হতে জোতিষ ও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নিযার্তন করতো।

কয়েকদিন আগে সে আমাকে ফোন করে নিযার্তনের কথা জানায়। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

রুহিয়া থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, আখানগর গুচ্ছগ্রামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

মেয়েটি কিভাবে মারা গেছে তা নিশ্চিত হতে লাশ ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে প্রেরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে বিথির মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য।

আরো পড়ুনঃ পাস হতে যাচ্ছে আজ দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট

Leave your comments