পরীক্ষা দেয়া হলো না সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেল ভোকেশনালের পরীক্ষার্থী মল্লিকা আক্তার মিতালী।
পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগেই তাকে চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে। মল্লিকা
আক্তার মিতালী কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বড় কুষ্টারী গ্রামের মজিবর রহমানের ২য় মেয়ে।

জানা গেছে, সে এবারে থানাহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের  থেকে এস,এস,সি ভোকেশনাল নবম সমাপনী
পরীক্ষার্থী হিসাবে শনিবার প্রথম পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল । কিন্তু পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের আগেই
শনিবার ভোরে ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায় গত ৪/৫ দিন থেকে মিতালী মাথা ব্যাথ্যার কথা বলেন, তারপরেও সে
পরীক্ষার জন্য নিয়মিত পড়াশোনা করত। শুক্রবার হঠাৎ রাত ১০ থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত মাথা ব্যাথ্যার
সাথে কয়েকবার বমি হয়।

শনিবার ভোর ৫ টার দিকে বেশি অসুস্থ হলে চিলমারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে
মৃত বলে ঘোষনা দেন। পরে তাকে সকাল ১১টায় পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। এদিকে তার এই
অকাল মৃত্যুতে তার বাবা-মা, ভাই-বোনসহ এলাকাবাসী ও বন্ধুু-বান্ধব-এবং স্কুলের শিক্ষকরা সবাই
শোকাহত।

থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (ভোকেশনাল) এর ট্রেড ইন্সট্রাক্টর শাহিনুর ইসলাম,দিররুবা
আখতার বানু বলেন, মল্লিকা আক্তার মিতালী আমাদের স্কুলের খুব ভাল ছাত্রী ছিল তার এই হঠাৎ অকাল
মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত।

ফিরোজ কবির কাজল

Leave your comments