বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ‘জিয়াউর রহমানের নামফলক’ পরিবর্তনের পরিণতি শুভ হবে না বলে সরকারকে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।তিনি বলেন,জিয়াউর রহমান একটি ইতিহাস।এদেশ একটি যুদ্ধের ইতিহাসের মধ্য দিয়ে।যাদের রক্তে লেখা এই স্বাধীনতা,তাদের রক্তকে অপমান করার দুঃসাহস দেখাবেন না।বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।রাজধানীর মোঘলটুলী এলাকায় ‘শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করার প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।গয়েশ্বর বলেন, আমি বলব- অ্যাবাউট টার্ন।আবারও বলব, ভ্রাতুষ্পুত্রকে বলেন- তিনি যেন নিজ হাতে মোঘলটুলিতে জিয়াউর রহমানের নামের সাইনবোর্ডটি লাগিয়ে দিয়ে আসেন।তা নাহলে যেদিন ক্ষমতার পরিবর্তন হবে,বাংলাদেশে ভাংচুর যে শুরু হবে সেটা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তখন আপনার থাকবে না- এই কথাটা ভাবেন।প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রতিহিংসা বাদ দেন।কম তো খান নাই, অনেক খাইছেন।এগুলো শেষ করতে যতটুক হায়াত দরকার,আল্লাহ তো এত হায়াত দেয় নাই। বাংলাদেশকে তো আপনি শেষ করে দিয়েছেন। এসব খেতেও পারবেন না,কবরে নিয়ে যেতেও পারবেন না।সে কারণে বলব, স্বেচ্ছায় মানে মানে ক্ষমতা ছেড়ে দেন।আপনি যদি স্বেচ্ছায় জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে দেন তাহলে মান-ইজ্জত বাঁচবে।আর জনগণ যদি ক্ষমতা থেকে নামায় মান-ইজ্জত-অর্থ-বিত্ত সবই হারাবেন।গয়েশ্বর বলেন,আদর্শ-চেতনা-দেশপ্রেমে জিয়াউর রহমান,স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে জিয়াউর রহমান।গণতন্ত্রে জিয়াউর রহমান,উৎপাদনে জিয়াউর রহমান।তাকে সহ্য করতে আপনারা (আওয়ামী লীগ) পারবেন না।তাকে ইচ্ছা করলে আড়াল করা যায় না।রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে কত স্মৃতিসৌধ, কত কিছু বানাচ্ছেন।সেগুলো রক্ষার স্বার্থে হলেও ইতিহাসে হাত দেবেন না।যে যেখানে আছে রাজনৈতিক কারণে,ঐতিহাসিক কারণেই জাতির সামনে তারা এখানে আছে।তাদেরকে থাকতে দিন, তাদের নাম রাখতে দিন।মানুষের হৃদয়ে আঘাত করলে সেই আঘাতের পাল্টা আঘাত আসবে তখন কোনো ক্ষমতায়ই টিকিয়ে রাখতে পারবে না।বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন,জিয়াউর রহমানের আজকে কিছুই নাই,কিছু রেখে যান নাই।বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার চেয়ে আর গরিব কেউ নাই।নিজের একটা বাড়ি নাই।ভাড়া বাড়িতে থাকেন।প্রায়ই নোটিশ পান।ভাড়া পরিশোধ করা যায় না।দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়ার যা উপার্জন,যা সম্পদ আছে বৈধভাবে সার্টিফিকেট দিয়েছেন।তাহলে তার অ্যাকাউন্ট চিজ (জব্দ) করে কেন?তিনি কেন অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারেন না।ঢাকা শহরে একজন নেত্রীর ৫০ হাজার টাকায় তার কীভাবে চলে,কীভাবে তার চিকিৎসা চলে?স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল,কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল,স্বেচ্ছাসেবক দলের সুলতান মো. নাসির উদ্দিন,আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল,রফিক হাওলাদার, ইয়াসীন আলী, সাদরেজ জামান, নাজমুল হাসান প্রমুখ।

Leave your comments