ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ দুর্ঘটনায় আরও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সকালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হায়াত উদ-দৌলা খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তূর্ণা নিশীথা
ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে লাইনে ঢুকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে মরদেহ বাড়িতে
পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কান্তি দাস দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মন্দভাগ
রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথা
এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। উদ্ধার কাজ চলাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের
সদস্যরা।

দুর্ঘটনা কবলিত আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেসে থাকা সিলেট রেলওয়ে থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো.
ইকবাল হোসেন জানান, উদয়ন ট্রেনটি তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটিকে সাইড দিচ্ছিল। উদয়নের অর্ধেক বগি অন্য লাইনে ঢোকার পর
বাকি বগিগুলোতে তুর্ণা নিশীথা ধাক্কা দিলে দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরো পড়ুনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্ধার করা আহত শিশুটির ‍স্বজনদের কাওকে পাওয়া যাচ্ছেনা

Leave your comments