ভারতের ধুবড়ি কারাগারে নিহত বাংলাদেশীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার রাত ১১ টার দিকে লালমনিরহাটের বুড়িমারী ইমিগ্রেশনে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বিজিবি’র কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি সেখানেই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। রোববার সকালে তার গ্রামের বাড়ি চিলমারী উপজেলায় তার পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের পারিবারিক সুত্র তার দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মৃত ব্যাক্তি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা। তার নাম বকুল মিয়া- পিতা ওমর সরকার । ভারতের ধুবড়ী জেলে আটক ২৬ বাংলাদেশীর মধ্যে সে একজন । গত ১ জুলাই জেলে সে হার্ট এটাকে মৃত্যু বরণ করে। সে সময় তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌহাটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার তানভীর রসুল । নিহত বকুলের পাসপোর্ট নম্বর বি পি ০৫৬১৫৫১ জন্ম ১০/১/১৯৬৪ । তিনি সহ ২৬ জন বাংলাদেশী লকডাউনের কারণে আটকা পড়ায় যথা সময়ে দেশে ফিরতে পারেননি। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় দেশে ফেরার সময় ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। ১৪ ফরেনার্স এ্যাক্টে আটক থাকেন। গত ২৬ জুন তাদের মামলার শুনানি হয়। একাধিক আইনজীবী এ শুনানিতে অংশ নেয়। আগামী ৬ জুলাই আবারও শুনানির জন্য দিন ধার্য্য ছিলো । মুক্তি পাবার আগেই তিনি মারা গেছেন। তার মৃত্যুর খবর চিলমারীতে আসার পর স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন জানান, ভারতের জেলে নিহত বকুল মিয়ার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার পর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
Leave your comments