ফিরোজ কবির কাজলঃ

পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে ভারতের আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আসাম প্রদেশের ধুবড়ি জেলার চাপোবত থানায় আটক ২৬ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত চেয়ে মানববন্ধন করেছেন তাদের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের কলেজ মোড়ে এ মানববন্ধন করেন আটক বাংলাদেশীদের পরিবারের সদস্যরা।

স্বজনরা জানান, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ব্যাপারী পাড়া গ্রামের ২৬ বাসিন্দা ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ভারতে বেড়াতে যান। এরই মধ্যে ভারত জুড়ে লকডাউনে আটকে পড়ে তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। গত ৩মে চেকপোস্ট কয়েকঘন্টার জন্য খুলে দেয়া হবে এমন খবরে বেড়াতে যাওয়া বাংলাদেশিরা জোড়হাট থেকে ধুবড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে তাদের আটক করে চাপোবত থানা পুলিশ। পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানে তারা বন্দি রয়েছেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চিলমারীর বাসিন্দা নাহিদ হাসান বলেন, ‘ইতিহাসে রাষ্ট্র ভাগ হয়েছে, কিন্তু আত্মীয়তা তো ভাগ হয়নি। ফলে আমাদের নিয়মিতই ভারতে আসা-যাওয়া করতে হয়। ওপারের আত্মীয়রা আসেন, আমরাও যাই। পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে চলাচল করা হয়। পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে ভারতে যাওয়া ওই দরিদ্র মানুষগুলোকে কারাগারে আটক রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন। আটক বাংলাদেশীদের পরিবারের সদস্যরা এপাড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রাষ্ট্রের উচিত তার নাগরিকদের ফেরত আনার ব্যবস্থা করা, আমরা মানববন্ধন থেকে সেই দাবি জানাচ্ছি।’

ভারতে আটক মানিক ও রেজাউলের মা মালঞ্চ বেগম বলেন,আটক ছেলেদের ফেরত এনে দেন। ওরাই উপার্জন করে আমাদের পরিবার চালায়। সরকার যেন একটু দয়া করে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্বজনরা জানান, বতর্মানে তাদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন স্বজনরা। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের কারা বন্দীত্বের কারণে এপাড়ে তাদের স্বজনরা খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। এমতাবস্থায় আটক স্বজনদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

Leave your comments