রোজায় সুস্থ থাকতে পানি খেতে হবে কমপক্ষে ১০ গ্লাস।

’ পানিশূন্যতা ‘ এবারের রোজা পড়েছে এক দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে। গরমের এই তীব্র যন্ত্রণায়, সারাদিন পানাহার না করে থাকার কারণে, অনেকের মাঝে দেখা দেয় পানিশূন্যতা সমস্যা। গরমের সময় সাধারণ ভাবেই সকলকে বেশি পানি পান করতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশের অনেকেই এই ব্যপারে তেমন সচেতন নয়। তার সাথে রমজান মাসের ১৫ ঘন্টা রোজা রাখার কারণে শরীরে দেখা দেয় তীব্র পানিশূন্যতার প্রভাব। এই প্রভাবের কারণে তাৎক্ষনিক ভাবে কেউ কোন সমস্যায় না পড়লেও, এর দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পানিশূন্যতা রোধে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে-

পানিশূন্যতা রোধে করনীয়

১. ইফতারি আর সেহেরি পর্যন্ত বয়স, ওজন আর উচ্চতা ভেদে দৈনিক ৮ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন, যাদের শরীরে প্রচুল ঘাম হয় এবং যাদের প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তাই তাদের জন্য অবশ্যই পানি পান করার পরিমান বাড়াতে হবে। একজন ব্যক্তির ওজন আর উচ্চতা পরিমাপ করে তাদের ৯-১২ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।

২. পানি সল্পতা রোধ করতে, অবশ্যই সেহেরিতে চা-কফি পান করা বর্জন করতে হবে। এই জাতীয় পানীয় আমাদের শরীরে di-uretics হিসেবে কাজ করে। ফলে আমাদের দেহের পানির চাহিদা বেড়ে যায়।

৩. রোজায় অতিরিক্ত লবনাক্ত খাবার বর্জন করা প্রয়োজন। অতিরিক্ত লবন দেহ থেকে পানি শুষে নিয়ে দেহের পানি চাহিদা বাড়িয়ে দেয়।

৪. re-hydrating মিনারেল তথা K+ যুক্ত খাবার সেহেরি আর ইফতারে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এসকল খাবার আমাদের দেহ থেকে পানিসল্পতা দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এজাতীয় খাবারগুলো হল, খেজুর, আম, কলা ইত্যাদি।

৫. প্রতিদিন অবশ্যই সুষমজাতীয় খাবার খেতে হবে। পুষ্টিকর সুষম খাবার আমাদের শরীর ভালো রাখতে এবং শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে সাহায্য করে।

৬. রমজান মাসে অবশ্যই অইরিক্ত তেলে ভাজা ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। কারন এ জাতীয় খাবার আমাদের পরিপাক ক্রিয়ায় বাধা প্রদান করে।

৭. রোজায় অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে insulin-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এজাতীয় খাবার বর্জন করাই শ্রেয়।

 

আরো পড়ুনঃ শারীরিক অক্ষমতা কাওকে দমিয়ে রাখতে পারেনা দমিয়ে রাখে তার চেষ্টা

Leave your comments