আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর।

গত ২ জুন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় সাহারা খাতুনকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।

এরপর অবস্থার উন্নতি হলে তাকে গত ২২ জুন দুপুরে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাইডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬ জুন সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

এরপর তার অধিকতর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৬ জুলাই চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ড নেয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন।

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসে তখন তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিন বছর ওই মন্ত্রণালয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা নগরীতে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন।

তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের ফোরোমেরও অন্যতম একজন নেতা ছিলেন।

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার এক মাস পর ঢাকায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহ হয়েছিল। তখন সাহারা খাতুন নতুন সরকারের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।

১৯৪৩ সালের পহেলা মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্ম গ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।

সাহারা খাতুন ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।

Leave your comments