হৃদরোগ

বুকে ব্যথা হওয়া মানেই কি হৃদরোগ ? একটু আকটু বুকে ব্যথা হলেই আমরা আতকে উঠি। নানা ভয় আমাদের মনে এসে ভীর জমায়। আসলে বুকে ব্যথা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। বুকে ব্যথা ছাড়াও হৃদরোগের রয়েছে অসংখ্য উপসর্গ।

হৃদরোগের তীব্রতা কমাতে আমাদেরকে অবশ্যই এর উপসর্গ বা লক্ষণ সমূহ জানতে হবে।

বুকে ব্যথাঃ হৃদরোগের প্রধান ও অন্যতম উপসর্গ তীব্র বুকে ব্যথা হওয়া। অধিকাংশ সময় ব্যথা বুকের মাঝখানে হয়। তবে বুকের বাম পাশেও হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি মনে করেন বুকের উপর ভারী কিছু চেপে বসে আছে।

কফযুক্ত কাশিঃ অবিরাম কাশি হয়। অনেক সময় কাশির সাথে রক্ত যেতে পারে।

মাথা ঝিম ঝিম করাঃ মাথা হালকা লাগে এবং মাথায় ঝিম ঝিম অনুভূতি হয়।

দূর্বলতা অনুভব করাঃ শরীর সব সময় ক্লান্ত লাগে।

বমি বমি ভাবঃ হৃদরোগ হলে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। আবার কখনো কখনো বমি হতে পারে।

খাবারের প্রতি চাহিদা থাকে না।

শ্বাসকষ্ট হওয়াঃ শ্বাস প্রশ্বাসের সময় তীব্র কষ্ট অনুভূত হয়।

ঘাম হওয়াঃ হঠাৎ করে অবিরত ঘাম হতে পারে।

শরীর ফুলে যাওয়াঃ পায়ে, গোড়ালিতে, পায়ের পাতা বা উদরে পানি জমে। এই কারণে শরীরের ওজন বেড়ে যায়।

হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায় জানলে আমরা খুব সহজেই এই মারাত্মক সমস্যাটি থেকে মুক্তি পেতে পারি।

  • হৃদরোগের অন্যতম কারণ ধূমপান। তাই আজই ধূমপান পরিহার করুন।
  • নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখুন। মনকে প্রফুল্ল রাখুন।
  • নিয়মিত হাঁটাচলা ও ব্যায়াম করুন।
  • অতিরিক্ত তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
  • খাবারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবনের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
  • প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খান।
  • মাঝে মাঝে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আপনার সচেতনতাই পারে হৃদরোগ থেকে আপনাকে বাঁচাতে। তাই আসুন আমরা প্রতিকারের চেয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধে সচেষ্ট হই।

আরো পড়ুনঃ কাপ্তাইয়ে প্রবল বর্ষণপ্রবল বর্ষণে পাহাড়ধসে নিহত ২, আহত ৫

Leave your comments