উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এলজিএসপি স্কীমে চলছে লুটপাট।মাত্র ৩টি প্রকল্পে লুটপাট ২০ লক্ষাধিক টাকা। এলজিএসপির নীতিমালা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিংহভাগ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে।ওই টাকার পুরোটাই লোপাট করার পায়তারা বলে মন্তব্য এলাকার সচেতন মহলের। ২০১৯/২০ অর্থ বছরে হাতিয়া ইউনিয়নে এলজিএসপি-৩ এর থোক বরাদ্দ  ছিলো ২০ লক্ষ ৩১ হাজার ৯শ ৯৭ টাকা।ওই টাকার সিংহভাগ দিয়ে যে কয়েকটি স্কীম দেখানো হয়েছে, সরেজমিনে সেখানে কোথাও কাজের কোনো বাস্তবতা পাওয়া যায়নি।ওয়াবদা বাঁধ ইউনুস মিস্ত্রির বাড়ী হতে হাতিয়া বালিকা বিদ্যালয় পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা নির্মাণে ৭ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫শ ৮০ টাকা বরাদ্দ দেখানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি সেখানে।অপর একটি স্কীম হচ্ছে নীলকণ্ঠ স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা মাঠ ভরাট ও টিনসেড পাকা গৃহ নির্মাণ।ওই স্কীম স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, মাদরাসা ঘরটি পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে খড়ের ঘর হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।মাঠের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে কিছু বালু ফেলা হয়েছে ওই মাদরাসা প্রধানের নিজস্ব টাকায়। এলজিএসপির টাকা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দের নিময় না থাকলেও মাদরাসাটিতে বরাদ্দ দেখানো হয়েছে ৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন এর সাথে কথা বলার জন্য কয়েক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।জেলা ফেসিলেটেটর ফারুক আহম্মেদ বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠদানের কারণে এসজিএসপি সে গুলোকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করে না।
Leave your comments