জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু সূর্য্যপুরী আমের বাজার।

অন্যান্ন বছরের মত এ মৌসুমে বাজারে ঠাকুরগাঁওয়ের এ বিশেষ জাতের আমটির চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।

আর তাই ব্যাস্ত সময় পার করছে এখানকার আম ব্যাপারিরা।

প্রতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারে আম বিক্রিতে ব্যস্ত থাকে স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আম ব্যাপারিরা।

এছাড়াও জেলার এ ঐতিহ্যবাহী আমকে ঘিওে প্রতি বছরেই শহরের তাঁতিপাড়ায় গড়ে উঠে মৌসুমী নতুন আমের বাজার ।

এ জেলার সুর্যাপুরি আমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

এখনকার বাজারে মণপ্রতি সুর্যাপুরি ১২শ-১৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জয়পুরহাট ও সিরাজগঞ্জ থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে আসা আম ব্যাপারী আসলাম উদ্দিন জানান,

প্রতি মৌসুমে আমরা ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এ আম পাঠাই।

এ জেলার সুর্য্যপুরি আম অন্যান্য জেলার আমের চেয়ে স্বাদে একদম আলাদা এবং এখানকার আমের চাহিদাও অনেক। এছাড়া দাম অনেক কম ও কেজিতে ৬ থেকে ৮টি আম পাওয়া যায়।

তাই ক্রেতারাও খুশি। আমরা “শ” হিসেবে আম ক্রয় করি, বর্তমান বাজার দাম আকার ভেদে ১শ আম ৪শ থেকে ৭শ টাকায় ক্রয় করছি।

জেলার কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন জানান, খেতে সুস্বাদু সূর্য্যপুরী আম শুধু এ জেলাতেই উৎপাদিত হয়।

অত্যন্ত সুস্বাদু এ আম প্রাকৃতিক নিয়মে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। এর প্রতি ফলের ওজন ২শ থেকে ৩শ গ্রাম এবং মিষ্টতা ২৩ টিএসএস।

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এ আমে ভিটামিন এ, বি, কপার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালরি সমৃদ্ধ।

ওষধীগুণেও এ আম অনন্য। বিশেষকরে ক্যান্সার প্রতিরোধে , কোলেস্টরেল কমাতে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ও ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রণে এবং চর্ম রোগে উপকারী।

তিনি আরো বলেন, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মাটি এ আম চাষের জন্য বেশী উপযোগী।

এ বছর বাম্পার ফলন না হলেও ১শ ৬৪ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ২শ ৪৮ মে:ট আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে এবং যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটিরও বেশি।

গৌতম চন্দ্র বর্মন,ঠাকুরগাঁও

আরো পড়ুনঃ সিস্ট কি, কেন হয়? আসুন জেনে নেই সিস্ট আসলে কি?

Leave your comments