হাসপাতাল হচ্ছে একজন অসুস্থ্য রোগীর কাঙ্খিত সেবা পাওয়ার একমাত্র আশ্রয়স্থল। আর সে হাসপাতাল যখন নিজেই অসুস্থ্য রোগীতে পরিনত হয়, তখন চিকিৎসা সেবার ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলে সেবা নিতে আসা রোগীরা ।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে এমনটিই ঘঠছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তোভোগীরা।

সরেজমিনে দেখাযায়, একটু বৃষ্টিতেই হাসপাতালের প্রধান ফটকেই হাটুপানি লেগে থাকে আর ছাদ দিয়ে চুয়ে পড়ে পানি। রোগীর বেডের পাশে পড়ে আছে আবর্জনার স্তুপ ।

নোংরা জিনিসপত্র ফেলা হচ্ছে ওয়ার্ডের ভেতরেই। ফলে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে ওয়ার্ডেও সর্বত্রই। টয়লেটের পানি নুয়ে পড়ে স্যাতস্যাতে হয়ে আছে ওয়ার্ডের মেঝে।

ওটি রুমের সামনে থেকে শুরু করে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অবাধে বিচরন করছে বেওয়ারিশ কুকুরের দল ।

আবার কখনোও রোগীর খাবার কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে এসব কুকুর। রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সাড়িয়ে তোলা হাসপাতাল যেন নিজেই অসুস্থ্য রোগীতে পরিনত হয়েছে।

নিজেই অসুস্থ্য

ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিমু নামের এক রোগী জানান, মেডিসিন মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি হবার পর আমি বেডে শোবার পর তা কিছুক্ষণ পর ভেঙ্গে পড়ে।

এতে আমি আরো বেশি অসুস্থ্য হয়ে পরি।

ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা: এস এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জেলার প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষসহ পাশ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের কিছু অংশের মানুষ চিকিৎসার জন্য নির্ভরশীল এ হাসপাতালটির ওপরে।

অতিরিক্ত রোগীর চাপে ৫০ সয্যার এ হাসপাতালটিতে লোকবল পর্যাপ্ত নয় ।

তবে ২৫০ সয্যায় উন্নিতকরন হাসপাতালটির নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে মাত্র। এটি চালু হলে এসব সমস্যা আর থাকবেনা বলে জানান তিনি।

গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি 

আরো পড়ুনঃ চট্টগ্রামে দক্ষ সংবাদকর্মী গড়ে তোলার লক্ষ্যে রিপোর্টিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্টিত

Leave your comments