জুবেল আরেফিন রংপুর প্রতিনিধিঃ মিঠাপুকুরে শ্বাসরোধে হত্যার পর গৃহবধূর লাশ ফাঁসীতে ঝুলিয়ে রেখে ঘাতক স্বামী ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্বামী, শশুড়-শাশুড়ী ও দেবরের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহতের মা। এ দিকে মামলা দায়েরের ১২ দিনেও আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় হযরতপুর ইউনিয়নের হাসনেরপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা কাজলী বেগমের মেয়ে আসমা আক্তার আঁখির (১৯) প্রায় এক বছর আগে বিয়ে হয় আস্করপুর তেলিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদের সাথে। বিয়ের পর থেকে ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে স্বামী ও শশুড়বাড়ির লোকজন আঁখির ওপর নির্যাতন চালাতো। তাদের নিমর্ম নির্যাতনে সম্প্রতি মায়ের বাড়িতে চলে যায় ওই গৃহবধূ। এরপর প্রায় এক মাস থেকে স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছেন তিনি। মা কাজলী বেগম ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করেন। ১ সেপ্টেম্বর বাড়িতে কেউ ছিলনা। এসময় স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আসাদ আঁখিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।নিহতের মা কাজলী বেগম জানান, বিয়ের পর থাকি মেয়ে জামাইয়ের খাবার খোরাক চালাইছি। জামাইয়ের বাপ কোন খাবার দেয়না। কারণে-অকারণে জামাই ও তার বাড়ির লোকজন আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন চালাতো। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেয়ে আমার বাড়িতে চলে আসে। আমি কাজের জন্য ঢাকায় থাকি। মেয়ে ও জামাই আমার বাড়িতে এক মাস থেকে অবস্থান করছে। কিন্তু, জামাইয়ের বাবা, মা তাকে কুমন্ত্রনা দিতে থাকে।  ঘটনার দিন তাদের সহযোগিতায় হত্যাকারী আসাদ আমার মেয়েকে হত্যা করে। আমি এর বিচার চাই।এ ঘটনায় তিনি মেয়ের হত্যাকারী জামাই আসাদ,শশুড় নুরুল ইসলাম, শাশুড়ী মমতাজ বেগম ও ভাই মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের ১২ দিনেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)শাহ্আলম সরদার বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কল ট্র্যাকিং করে অবস্থান জানার জন্য কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। তবে, অভিযান চলছে। অন্যদিকে, প্রধান আসামী মোবাইল ফোন ব্যবহার করেনা। তাই, তার অবস্থান জানা সম্ভব হচ্ছেনা। আর অন্যরাও পলাতক রয়েছে।
Leave your comments