ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে এবার সাবওয়ে নির্মাণের পথ উন্মুক্ত হচ্ছে।এর ফলে মাটির নিচ দিয়ে চলবে গণপরিবহন।সড়কে ১০০ বাসে ঘণ্টায় ১০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারেন।পাতাল রেল হলে সাবওয়েতে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবেন।তা ছাড়া এতে সড়কের ওপর চাপ থাকবে না।এ রকম বিবেচনায় সাবওয়ে নির্মাণের সমীক্ষা চলছে।এরই মধ্যে ১১টি রুট চিহ্নিত করা হয়েছে।বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস এ বিষয়ে আমাদের সময়কে জানান,নগরীর যানবাহনের চাপ সামলাতে সাবওয়ে নির্মাণ করা হবে।বর্তমানে ফিজিবিলিটি স্টাডি চলছে।এরপর অর্থায়নের চেষ্টা করা হবে।জানা গেছে, প্রতিটি শহরে সড়কের আদর্শ মান ২০-২৫ শতাংশ,কিন্তু ঢাকায় তা মাত্র ১৫-২০ শতাংশ।রাজধানীতে গাড়ির ধারণক্ষমতা তিন লাখ হলেও চলছে ১০ লাখেরও বেশি।তাই সাবওয়ের দিকে হাঁটছে সরকার।এর নির্মাণখননে অত্যাধুনিক টানেল বোরিং মেশিন ব্যবহৃত হয়।এতে জনদুর্ভোগ খুবই কম।তা ছাড়া উড়াল সড়ক বা সেতুর সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৫০-৭৫ বছর হলেও সাবওয়ের স্থায়িত্বকাল ১০০ থেকে ১২৫ বছর।আর উন্নত শহর সিউল, লন্ডন,নিউইয়র্ক,সানফ্রান্সিসকো, বাগোতার মতো শহরে উড়াল সড়ক, ফ্লাইওভার বা ভায়াডাক্ট অপসারণ করে এখন সাবওয়ে নির্মাণ করছে।২৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সাবওয়ে নেটওয়ার্কের অধীনে প্রাথমিকভাবে ৯০ কিলোমিটারকে বাস্তবে রূপ দেওয়া হবে।এ প্রকল্পের সমীক্ষা প্রকল্পে যুক্ত পরামর্শকের পক্ষ থেকে ১১টি রুট চিহ্নিত করা হয়।সম্প্রতি সেতু বিভাগে রুটের তালিকা পাঠানো হয়েছে।সেখানে দেখা যায়, রুট বি হিসেবে গাবতলী-ভোলাব ইউনিয়ন রোড ৩০ দশমিক ৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সাবওয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।রুটগুলো হচ্ছে- গোলারটেক, তুরাগ সিটি,জাতীয় চিড়িয়াখানা,মিরপুর-১১, কালশি মোড়, মাটিকাটা রোড,বিমানবাহিনী সদর দপ্তর,বারিধারা ডিওএইচএস,ফিউচার পার্ক,বসুন্ধরা ব্লক-ডি,বসুন্ধরা ব্লক আই অ্যান্ড জে,বসুন্ধরা সাউথ,বসুন্ধরা ব্লক-এম,বসুন্ধরা ব্লক-এন, মাস্তুল,ডেলনা,টোলনা,পূর্বাচল সেক্টর-১৫, পূর্বাচল সেক্টর-১৮,পূর্বাচল সেক্টর সেন্ট্রাল,পূর্বাচল সেক্টর-১৯,পূর্বাচল সেক্টর-২১, পূর্বাচল সেক্টর ইস্ট,পূর্বাচল মালুম সিটি ও ভোলাব ইউনিয়ন রোড।

Leave your comments