রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার ফরিদুল হক চৌধুরীর দেড় বছরের কর্মকান্ড অর্থাৎ টেন্ডার বাণিজ্য থেকে শুরু করে দুর্নীতি অনিয়ম অর্থ আত্বসাত ছিল অনেকটা ওপেন সিক্রেট। বিগত দেড় বছরে ছোট বড় ঠিকাদারদের যোগসাজশে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন কেনাকাটা, রুম মেরামত, ডাস্টবিন মেরামত , বিদ্যুৎ সংস্কার, বেতন না বাড়লেও ২১ জন কর্মচারিকে প্রমোশন, করোনাকালে মনগড়া বিল ভাউচারসহ নানা কর্মকান্ডে গড়ে তুলেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট।এছাড়াও ভুয়া জখমী সনদ এভাবেই তিনি বিগত দেড় বছরে হয়েছেন ১০ কোটি টাকার মালিক।তার সিন্ডিকেটে ছিলেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিস সহকারি নাহিদ, যার মাধ্যমে করেছেন ঠিকাদারি মালামাল সরবরাহসহ নানাবিধ কার্মকান্ড এবং অফিস সহকারি আসাদুজ্জামান বাদল যার মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ উল্লেযোগ্য। মোট কথায় তার মাধ্যমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে পুকুরচুরি ও হরিলুট।সংশ্লিষ্ট কিছু উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পছন্দের মানুষও ছিলেন তিনি।নিজ ক্ষমতা বলে তার দাপট এত বেশি ছিল যে তিনি কাউকে তোয়াক্কা করতেন না।এভাবেই প্রকাশ্যে দুর্নীতি ও অনিয়ম চালিয়ে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ছেন তিনি ।তার গড়া শক্তিশালী সিন্ডিকেটের যোগসাজশে ২১ জন কর্মচারিকে প্রমোশন দেন।প্রমোশনপ্রাপ্তদের প্রশোশন সর্বস্ব হলেও বাড়েনি বেতন প্রমোশনপ্রাপ্তদের নিকট থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা । করোনা ভাইরাস মহামারিকালে ২টি বিলে ৭০ লাখ টাকার মনগড়া বিল উত্থাপন করে উত্তোলন করেন। এসব বিলে রয়েছে ব্যাপক অসঙ্গতি। তার প্রকাশ্য দুর্নীতি অনিয়মের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ, হলে এসব ঢাকতে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার ফন্দি করেন এরই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে তিনি আজ ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান।এদিন ছিল তার কর্মজীবনের শেষ দিন ।এদিন তার অবসরে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানজুড়ে অর্থাৎ সকল পর্যায়ের স্টাফদের মাঝে চলেছে আনন্দের বন্যা । ইতিমধ্যে তারা মিষ্টি বিতরণও করেছেন বলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে । সূত্র জানায়, দুর্নীতিবাজ পরিচালক ডাক্তার ফরিদুল হক চৌধুরী তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হরিলুট চালিয়েছে। এব্যাপারে পরিচালক ডাক্তার ডা: ফরিদুল হক চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি ।

Leave your comments