রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের গড়ের পাড়ের অমল রায়ের পুত্র পুলিশ কনস্টেবল আনন্দের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে রংপুর সিটির ৩৩ নং ওয়ার্ডের শরেয়ারতল গ্রামের ঝন্টু রায়ের মেয়ে রুপালী রানী অবস্থান করছেন।মেয়েটির অবস্থানের সময় পুলিশ কনস্টেবল আনন্দ তার কর্মস্থল লালমনির হাটে কর্মরত আছেন বলে জানা যায়।মেয়েটি অভিযোগ করে বলেন, এক বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আনন্দের সাথে আমার পরিচয় হয়।পরিচয় থেকে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে।কিছুদিন আগে আমাকে বিয়ের কথা বলে তিস্তায় আনন্দের ফুফাতো বোনের বাসায় নিয়ে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে শারিরীক সম্পর্ক করে,আমি বিয়ের কথা বললে টালবাহানা করে আমাকে বিয়ে না করে বাড়িতে ফিরত পাঠায়।আবার গত ২২শে আগস্ট  বিয়ের কথা বলে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে তিস্তার মোস্তফিতে আনন্দের তাওয়াতো বোনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করে।শারীরিক সম্পর্ক করার পর আমি বিয়ে করার কথা বললে নানা টালবাহানা করে।এরপর থেকে আমার সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করে।আনন্দ আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন টুকু শেষ করে দিয়েছে। তাই আমি আজ রবিবার দুপুর ১২ঘটিকায় স্বেচ্ছায় আনন্দের বাসায় এসেছি।আমাকে বিয়ে না করলে আমি আমার জীবন শেষ করে দিবো বলে জানায়।সাংবাদিকরা আনন্দের বাসায় মেয়েটির সাথে দেখা করতে গেলে আনন্দের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে।মেয়েটির সাথে দেখা পর্যন্ত করতে দেয়নি।পরে আনন্দের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আনন্দ সাংবাদিকের নাম শুনেই ফোন কেটে দেন এবং সাংবাদিকের  ফোন নাম্বার ব্লাক লিস্টে রাখেন।এ বিষয়ে ছিনাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক  বলু কে ফোন দেওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি শুনেছি মেয়েটি আনন্দের বাড়িতে এসেছে।মেয়ের বাবা ঝন্টু রায়ের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার মেয়ে আনন্দের বাসায় বিয়ের দাবীতে অবস্থান করছেন।
Leave your comments