কুড়িগ্রামের উলিপুরে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় বহিস্কৃত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মতি
শিউলীকে পূর্ণঃবহাল করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশ
বুধবার (০৬ নভেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও
সমাবেশ করে সেখানে সভাপতিকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছেন।

জানা গেছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মতি শিউলীকে
সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কেন্দ্র থেকে
গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ সাময়িক ভাবে বহিস্কার করা হয়। এরপর বহিস্কৃত সভাপতি ক্ষমা প্রার্থনা
করে কেন্দ্রের কাছে ভুল স্বীকার করে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে
দশ মাস পর মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত পত্রে
তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সভাপতি বিরোধী উপজেলা
আওয়ামীলীগের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তারা বুধবার বিকালে শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ
মিছিল বের করে পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে চৌরাস্তা মোড়ে এসে সমাবেশে
মিলিত হন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল
আজিজ মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল ইসলাম বাবলু, দপ্তর সম্পাদক নিমাই সিংহ, হাতিয়া
ইউনিয়নের সভাপতি সাইখুল ইসলাম নয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ
সরকার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
রাখিবুল ইসলাম রুবেল, শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের উপজেলা সাধারন সম্পাদক প্রনয়
সরকার প্রীতম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন

বক্তারা বলেন, সভাপতি মতি শিউলীকে পুণঃবহলা করেছেন, তাকে কেন্দ্রেই রেখে দেন। এ উপজেলা তার
স্থান নেই। এ সময় সমাবেশ থেকে মতি শিউলীকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়। সমাবেশে বক্তারা আরও
বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক
গোলাম হোসেন মন্টুর নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগ এগিয়ে যাবে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মতি শিউলীকে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করার বিষয়ে মুঠোফোনে
তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটা তো আমাকে অবাঞ্চিত করা হলো না, মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে ওরা বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছে। এটা তাদের বুঝার অভাব আছে
অবশ্যই। তারা যদি বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক হত, তাহলে অবশ্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে এভাবে মিছিল করতে পারতো না। তিনি আরও বলেন, উপজেলা কাউন্সিলের লক্ষে বিভিন্ন
ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটি গঠনে তারা ব্যাপক অনিয়ম ও সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজে লিপ্ত
রয়েছেন। আমি আগামী কাউন্সিলে পুণরায় সভাপতি পদে প্রার্থী হব, সে কথা জেনে তারা ভয়ে
আতঙ্কিত হয়ে এসব করছে। আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। এলাকায় ফিরে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন
করবো।

 

ফিরোজ কবির কাজল

আরো পড়ুনঃ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি বদলে দিচ্ছে ওদের জীবন

Leave your comments