কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হরিলুট

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় সরকারের দেয়া গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির নামের বরাদ্দের টাকা
হরিলুট হয়েছে। কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। কাজ বাস্তবায়ন না
হওয়ায় দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে রেহাই মিলছেনা মানুষের। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস
উপজেলা প্রশাসনের।কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি পাঠানো তথ্য ও ছবি নিয়ে রিপোর্ট।

জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় চিলমারী উপজেলায় রয়েছে ৬টি ইউনিয়ন। দারিদ্রপীড়িত এই
উপজেলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১ম ও ২য় পর্যায়
২৪৯ টি প্রকল্পের বিপরীতে ১কোটি ৫৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৩৬৬ টাকা টি আর এবং ৩৫ টি সোলার প্রকল্পের
বিপরীতে ১ কোটি ১১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৫০ টাকাসহ ২৯টি প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ৩৯৮ মেঃ টন চাল
কাবিখা’র বরাদ্দ দেয়া হয়।

কাজ শেষ না করে বিল উত্তোলন

যা গত জুন মাসেই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। অভাবী আর নদের ভাঙ্গন কবলিত এলাকায়
সরেজমিনে দেখা যায়, চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ব্রাক মোড় হতে রেলক্রসিং পর্যন্ত কাচা
রাস্তা সংস্কার,অধিকারী পাড়ার হতে পূর্বদিকে মকবুলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার জন্য ৪৩হাজার
২৮০টাকা,চিলমারী মডেল থানার সামনে নুরুল হকের পুকুর পাড় হতে বাড়ি মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা
মেরামতের জন্য ০১ লাখ ২৮হাজার ২০০টাকা, মাটিকাটা নুরানী মাদ্রাসা হতে ওমর হাজীর বাড়ি পর্যন্ত
রাস্তা মেরামত ০২লাখ ৪০হাজার টাকা এবং রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
মাঠ ভরাটের জন্য ৭০হাজার টাকা সোনবোন পাড়া পাকা রাস্তা হতে ইয়াকুবের বাড়ি পর্যন্ত ৭৩হাজার
৭০০টাকা, ময়জুদ্দি মেম্বারের বাড়ি হতে বৈরাগীরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের
জন্য ৭৮হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কোন কাজই করা হয়নি। অথচ কাগজ-কলমে কাজ সমাপ্ত
দেখিয়ে জুনের মধ্যেই বিল উত্তোলন করা হয়েছে।

পথচারীদের দুর্ভোগ

দীর্ঘদিন ধরে কাচা রাস্তা সংষ্কার না করায় চরম দুর্ভোগে চলাচল করছে পথচারীরা। বর্ষাকালে চলাচলের
দুর্ভোগ বেড়ে যায় স্থানীয়দের। প্রায় সময় পড়তে হচ্ছে দুর্ঘটনায়। প্রচার-প্রচারণা না থাকায় স্থানীয়রা
জানেন না কোন বরাদ্দ আসছে কিনা। ফলে মাঠ পর্যায় কাজ না করেই প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিসহ
প্রশাসনের লোকজন আতাত করেই সরকারের উন্নয়নের টাকা কটেস্থ করছেন। যার কারণে মাঠ পর্যায়
সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমছে না।

এই বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান,কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে দাবী করে
জানান, চেকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করে প্রকল্প কমিটি কাজ বাস্তবায়ন করে। অনেকেই প্রকল্পের
বিষয় জানেন না প্রশ্নের জবাবে বলেন,বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সবাই প্রকল্পের বিষয় জানেন।

অনিয়ম অভিযোগের কথা অস্বীকার করে এই কর্মকর্তা বলেন,বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত
হবার দাবী তার। তবে এই বিষয়ে কোন অভিযোগ আসলে ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দেন
তিনি।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

আরো পড়ুনঃ ইনোভেশন গ্যালারির উদ্বোধন করা হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে

Leave your comments