তিস্তা নদী নিয়ে সরকারের প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে চার জেলার ২৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।এতে তিস্তা নদীর সুরক্ষা, দুই তীরের বন্যা ও ভাঙন রোধ এবং ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের ক্ষতিপূরণে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।রোববার (১লা নভেম্বর) বেলা ১১টায় নীলফামারী, রংপুর,লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলা বেষ্টিত তিস্তার দুই তীরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’ এর আয়োজন করে।রোববার সকালে তিস্তা নদীর প্রবেশ মুখ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই জিরো পয়েন্ট থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর ঘাট (এখানে তিস্তা- ব্রহ্মপুত্র মিলেছে) এলাকা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশারসহ নদীপাড়ের কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়।ব্যানার, পোষ্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে কেউ নদীর পানিশুণ্য ধুধু বালুচরে, কেউবা নৌকা ভাসিয়ে আবার কোথাও তিস্তার কোলঘেষা দুই তীরে দাঁড়িয়ে নদীর ভাঙন রোধ, পুনঃখনন, তিন্তা পানির ন্যায্য হিস্যা ও ভাঙন কবলিত হাজার হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবি জানান।রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে,কাউনিয়ায় তিস্তা ব্রিজের নীচে ও পীরগাছার শিবদেব পাকারমাথা সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় মানববন্ধনে অংশ নেয়া নেতবৃন্দ বলেন, ‘তিস্তা নদী বাংলাদেশ অংশে ১১৫ কিলোমিটার প্রবাহিত। বন্যা ও ভাঙনের হাত থেকে মুক্তি চায় তিস্তা তীরবর্তী মানুষ।নদীর সুরক্ষা, দুই তীরে ভাঙন রোধ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের  প্রতি দাবি জানান।সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদী নিয়ে যে মহাপরিকল্পনা গ্রহন করেছেন,তা দ্রুত  বাস্তবায়ন করার আহবান জানান।পরিষদের নেতারা বলেন, তিস্তা ড্রেজিং করে কোটি মানুষের দুঃখ ঘোচানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।এ মহাপরিকল্পনা বাস্তাবায়ন তিস্তার তীরবর্তী ৫টি জেলার আর্থিক সমবৃদ্ধি পাবে।তিস্তা তীরের মানুষের দুঃখের দিন শেষ হবে।বদলে যাবে মানুষের জীবনযাত্রা। কিন্তু একটি চক্র এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টির পায়তারা করেছে। তাই তিন্তা নিয়ে মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নদীর দুই তীরে ২৩০ কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী, সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ও বেরোবির শিক্ষক ড. তুহিন সহ বরো অনেকে।
Leave your comments